রাশিয়ার কোস্ট্রোমা শহরের এক ক্যাফেতে ভয়াবহ আগুন, নিহত ১৫ , আহতের সংখ্যাও ৭

211

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড রাশিয়ায়। রাশিয়ার কোস্ট্রোমা শহরের এক ক্যাফেতে আগুন লেগে নিহত ১৫ জন। আহতের সংখ্যাও ৭। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বিরোধ বাধে ওই ক্যাফেতে। সেই বিরোধের দরুনই একটি ফ্লেয়ার বন্দুক ব্যবহার করা হয়। মূলত বিবাদী দুই পক্ষের মধ্যেই একপক্ষ অন্যপক্ষকে ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করে বন্দুকটি। কিন্তু সেই ফ্লেয়ার বন্দুকের স্ফুলিঙ্গ লেগেই আগুন ধরে যায় পুরো ক্যাফেটিতে। আগুনের প্রভাবে পুরোপুরি ধ্বসে যায় ক্যাফেটির ছাদ। নিমেষের মধ্যেই ওই এলাকায় ছড়িয়ে পরে আগুন । ধোঁয়ায় নাভিশ্বাস ওঠে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় মানুষ খবর দিলে এলাকায় দ্রুত ছুতে আসে পুলিশ। পুলিশের তৎপরতায় ওই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ২৫০ জন মানুষ। কোস্ট্রোমা অঞ্চলের গভর্নর সের্গেই সিটনিকভ নিজে দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেন উদ্ধারকার্যে। এবিষয়ে তিনি বলেছেন যে ওই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত ৫ জন সামান্য আহত হয়েছে।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ সূত্রে খবর বিরোধের সময় কেউ দৃশ্যত একটি ফ্লেয়ার বন্দুক ব্যবহার করে , তারপর সেই অর্থে আগুন দেখা না গেলেও। পরে ভোরের দিকে আগুনের সূত্রপাত হয় ওই ক্যাফেতে। তারপর পুরো ক্যাফেতেই ধরে যায় আগুন। পুলিশের তৎপরতায় ওই আগুন নেভানো হলেও , আগুন লাগার কারণ নিয়ে এখনও সন্দিহান পুলিশ। তাই শুরু হয়েছে পুলিশি তদন্ত । বিবাদের সময় ওই ফ্লেয়ার বন্দুক যিনি ব্যবহার করেছিলেন তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।

রাশিয়ার পশ্চিম কোনের একটি ছোট্ট শহর হলো কস্ট্রোমা। বর্তমানে সেখানকার জনসংখ্যা মাত্র ২,৭০,০০০। কোস্টোমা নদীতীরবর্তী শহর। মস্কো থেকে প্রায় ৩৪০ কিলোমিটার উত্তরে এটি অবস্থিত। তবে রাশিয়াতে আগুন লাগার ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও রাশিয়ার বিনোদনমূলক জায়গায় লেগেছে একাধিকবার আগুন। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির কারণে ২০০৯ সালে পরম শহরের লেম হর্স নাইটক্লাবের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে নিহত হন প্রায় ১৫০ জন মানুষ। তবে সেই আগুন ধরে আতশবাজির কারণে। শোনা যায় আতশবাজি নিক্ষেপ করার সময় সেটি বার্স্ট করে আগুন ধরে যায় সেখানে।