‘পরমাণু বোমা ব্যবহারে নাগরিকদের প্রস্তুত করছে রাশিয়া’

53

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণে বিশ্ব পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার প্রত্যক্ষ করার ঝুঁকিতে রয়েছে। সম্প্রতি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, জাপোরিজ্জা ও খেরসন রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত করায় এবং এসব অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের সামরিক অভিযান বজায় থাকায় রুশ সেনাদের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে একই আশঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। যদিও তিনি মনে করেন, রাশিয়া এর জন্য প্রস্তুত নয়। ইনডিপেনডেন্ট ইউকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিবিসিকে দেয়া শুক্রবার এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেছেন, রাশিয়ার কর্মকর্তারা ইউক্রেনের দখলকৃত অঞ্চলে পারমাণবিক অস্ত্রের সম্ভাব্য ব্যবহারের জন্য নাগরিকদের প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। জেলেনস্কি বলেন, ‘তারা, তাদের সমাজকে প্রস্তুত করতে শুরু করেছে। এটি খুবই বিপজ্জনক। তারা এটা করতে (পারমাণবিক অস্ত্র), ব্যবহার করতে প্রস্তুত নয়। কিন্তু তারা যোগাযোগ শুরু করেছে। তারা জানে না, এটি ব্যবহার করবে কি না। আমি মনে করি, এই বিষয়ে কথা বলাও বিপজ্জনক।’ এর আগে গত সপ্তাহে ইউক্রেনের যে চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, সেসব ভূখণ্ডকে রাশিয়ার অংশ হিসেবেই দেখেন ভ্লাদিমির পুতিন এবং এসব অঞ্চল রক্ষায় সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহার করার হুমকি দিয়েছেন তিনি। পশ্চিমারা পুতিনের সম্ভাব্য সব উপায় ব্যবহারের হুমকিকে পারমাণবিক হুমকি হিসেবেই দেখছে। এদিকে রাশিয়ায় হামলা চালানোর আহ্বান সংক্রান্ত এক সংবাদ বিবিসির সাক্ষাৎকারে অস্বীকার করেছেন জেলেনস্কি। তিনি দাবি করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মোটেও রাশিয়ার হামলার আহ্বান ছিল না। তার কথার অনুবাদে ভুল হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা সন্ত্রাসী নই। আমরা অন্যের ভূখণ্ডে যুদ্ধ করি না।’ যদিও রাশিয়ায় হামলার বিষয়ে জেলেনস্কির আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান ডেপুটি চেয়ারম্যান দিমিত্রি মেদভেদেভ বলেন, ‘বিশ্বযুদ্ধ শুরু করাতে চাইছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি।’ এদিকে বেশ কয়েকজন রাশিয়ার কর্মকর্তা মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধে কৌশলগত পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা যেতে পারে। একই মত, চেচেন প্রজাতন্ত্রের প্রধান রমজান কাদিরভের। যদিও পশ্চিমা কর্মকর্তারা বলছেন, মস্কো এমনটা করতে প্রস্তুত তার কোনো প্রমাণ নেই।