পচন ধরেছে পায়ে, একবেলা খেয়ে দিন কাটছে গায়ক আকবরের

69

এক সময় সংগীতশিল্পী কি’শোর কুমা’রের গাওয়া ‘এক দিন পাখি উড়ে যাবে যে আকাশে’ গানটি ইত্যাদির মঞ্চে গেয়ে রাতারাতি পরিচিতি পান আকবর।

এর ফলে একজন সাধারণ রিকশাচালক থেকে ইত্যাদির মঞ্চে গান গেয়ে জয় করেছিলেন লাখো মানুষের হৃদয়। এরপর নিজের মৌলিক গান ‘তোমা’র হাত পাখার বাতাসে’ অডিও-ভিডিও দুটোই সুপারহিট ছিল।
আকবরের জীবন ভালোই চলছিল। দেশ-বিদেশের মঞ্চে গান গেয়ে জীবন কা’টাচ্ছিলেন তিনি। হঠাৎ করেই কিডনির অ’সুখে আ’ক্রান্ত হন আকবর। দেখা দেয় ডায়াবেটিসও।

ছন্দপতন ঘটে জীবনের। গান গাইতে পারেন না। থেমে যায় সংসারের একমাত্র উপার্জনকারী মানুষটির অর্থ যোগানের চাকা। অনেক বছর ধরেই এই দুরবস্থা চলছে।
মাঝে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও ফের ভাগ্যের পরিহাসে সঙ্কটের মুখোমুখি আকবর। বর্তমানে মোটেই ভালো নেই তিনি। বর্তমানে তার পায়ে পচন ধরেছে। প্রায় দুই মাস ধরে বিছানায় পড়ে আছেন। টাকার অভাবে চিকিৎসাও করাতে পারছেন না।

সম্প্রতি আকবর গণমাধ্যমে জানিয়েছেন, আমা’র অবস্থা খুব খা’রাপ। পায়ের নিচে জ্বলে। ওই জায়গায় খানিকটা কে’টে ফেলে দিয়েছে। ঘুমাতে পারি না। সবাই মিলে আমা’র পায়ের অ’পারেশনটা করে দিন।

তিনি আরও বলেন, সবাই আশ্বা’স দিচ্ছে টাকা দিবে, কিন্তু কেউ দেয় না। কেউ পাশে দাঁড়ায় না। একমাত্র ডিপজল বস (অ’ভিনেতা ও প্রযোজক মনোয়ার হোসেন ডিপজল) কিছু টাকা দিয়েছিলো। সেই টাকা নিয়ে আমা’র স্ত্রী’ আমাকে হাসপাতা’লে ভর্তি করেছিলো।

তিনি আরো জানান, দুর্দশা আপনারা দেখছেন। আমা’র আর বলার ভাষা নেই। সবাই আমাকে ভালোবাসে, আমিও ভালোবাসি। আপনারা সবাই আমা’র পাশে থাকেন। এটাই আমা’র কাম্য।

আকবরের স্ত্রী’ কানিজ ফাতেমা বলেন, এক বেলা খেলে আরেক বেলা না খেয়ে থাকতে হয়। ওর (আকবর) ঔষধ কিনতে পারি না। সারারাত চিল্লায়।

শুধু কাঁদে আর বলে, তুমি আমা’র আর চিকিৎসা না করলেও শুধু পায়ের অ’পারেশনটা করিয়ে দাও। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। কিন্তু আমি নিরুপায়।

সকলের কাছে সাহায্য প্রার্থনা করে আকবর পত্নী বলেন, কোনো স্ত্রী’ চায় না তার স্বামী বিনা চিকিৎসায় মা’রা যাক। কিন্তু আমা’র কোনো রাস্তা নেই।

আমা’র কোনো জমানো টাকাও নেই। আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, শেষবারের মতো আমাদের পাশে দাঁড়ান। ওর চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন।

আকবরের মে’য়ে অথৈ বলেন, আব্বুর অবস্থা খুবই খা’রাপ। সবার কাছে একটাই চাওয়া, আমা’র আব্বুর পাশে একটু দাঁড়ান। আমা’র আব্বু যাতে আবার সুস্থ হয়ে উঠতে পারে।