নভেম্বরে আছড়ে পড়তে পারে ঘূর্ণিঝড় ম্যান্দোস, জানুন কোন পথে ধেয়ে আসতে পারে এই সাইক্লোন
সিতরাং-এর পর কি এবার নতুন ঘূর্ণিঝড় ম্যান্দোস আছড়ে পড়বে। বঙ্গোপসাগরে নতুন সাইক্লোন তৈরির ইঙ্গিত দিচ্ছে হাওয়া অফিস। আতঙ্ক বাড়তে পারে উপকূলবর্তী এলাকার মানুষের মধ্যে।
তবে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী এই সাইক্লোনের লক্ষ্য কিন্তু বাংলাদেশ বা পশ্চিমবঙ্গ নয়। এটি আছড়ে পড়তে পারে অন্ধ্র প্রদেশের। যার পরোক্ষ প্রভাব পড়বে এই রাজ্যে। পূর্বাভাস অনুযায়ী বঙ্গোপসাগরে শনিবার মধ্যে তৈরি হবে একটি ঘূর্ণাবর্ত। যা সোমবারের মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হবে। তারপর প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকলে এটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। তাই যদি হয় তাহলে এটি ১১ নভেম্বর অন্ধ্রের মছলিপট্টনমের কাছ দিয়ে স্থসভাগে প্রবেশ করতে পারে। যার জেরে ১১-১২ নভেম্বর এই রাজ্যের উপকূলবর্তা ও গাঙ্গেয় উপত্যকায় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১০ নভেম্বর থেকেই আকাশ মেঘলা থাকতে পারে। নভেম্বরেই ঘূর্ণিঝড় ম্যান্দোস, নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস
নভেম্বর মাসেই বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি ভাঙ্কর ঘূর্নিঝড়। তেমনই আশঙ্কা করছে বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর। বাংলাদেশের আবাহাওয়া অধিদফতর মাসিক পর্যালোচনা বৈঠক করেছিল বুধবার। সেখানেই সতর্ক করে দেওয়া হয়। বলা হয় নভেম্বরের মাঝামাঝি অর্থাৎ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে একটি সাইক্লোন। কার্তিক- অগ্রহায়ণ মাসে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সাইক্লোন বড়সড়ে আঘাত করতে পারে উপকূলবর্তী এলাকায়।
রোটেশন অনুযায়ী এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেওয়া হবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী থেকে। নাম হবে ম্যান্দোস। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর আরও জানিয়েছে, গত পাঁচ দশকে উপমহাদেশে যত বড় ঘুর্ণিঝড়, সুপার সাইক্লোন হয়েছে তা সবকটি নভেম্বর মাসে। তাই সেই সময় বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ঘূর্ণিঝড় ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে বলেও মনে করছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী সিতরাং-এর রেশ কাটতে না কাটতেই চলতি নভেম্বরে বঙ্গোপসাগরে আরোএকটি ঘুর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলেও জানান হয়েছে। কারণে মৌসমের একটি স্বাভাবিক লঘুচাপ বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণে অবস্থান করছে। যদিও এটি উত্তর পূর্বে বিস্তৃত রয়েছে। আগামী ৭-১০ নভেম্বরের মধ্যে একটি হালকা নিম্পচাপ তৈরি হতে পারে। কিন্তু তাই পরবর্তীকালে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সিতরাং ঘুর্ণিঝড়। যার প্রভাবে লন্ডভন্ড বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা। পঞ্চাশ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ১০ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রচুর ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বরিশাল, কক্সবাজার, চট্টোগ্রাম -সব বেশ কিছু এলায় তাণ্ডব দেখিয়েছে সিতরাং। যা এখনও স্বাভাবিক হয়নি। এরই মধ্যে নতুন করে প্রাকৃতিক দুর্যোগ আশঙ্কা তৈরি করেছে। যদিও বাংলাদেশ প্রশাসন আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ সিতরাং ঘূর্ণিঝ়ড়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদশে প্রশাসন জানিয়েছিল আরও একটি ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে। আর তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন শেখ হাসিনা।